ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’র ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রামে জোর প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ১১:১০ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’র ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রামে জোর প্রস্তুতি

সিলেট স্টারঃঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’র আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছাড়তে মাইকিং চালু করা হয়েছে। নগরীর দামপাড়াস্থ চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে চালু করা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম।

সংস্থাটির গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন বলেন,  রেমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রেমালের ঝুঁকি না কমা পর্যন্ত কন্ট্রোল রুম থেকে নাগরিকদের তথ্য সেবা দেয়া হবে। এছাড়া, আমরা রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং শুরু করেছি যাতে ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। এছাড়া, জরুরি প্রয়োজনে বিতরণের জন্য শুকনো খাবারের ত্রাণও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত শনিবার দুপুরে চালু হওয়া এ কন্ট্রোল রুম থেকে ২৪ ঘণ্টা দুর্যোগকবলিত জনগণকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হবে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০১৮১৮৯০৬০৩৮।
আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর টাইাগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে মেয়র রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে সভা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হলে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

মাল’-এর প্রতি তীক্ষè নজর রাখছি আমরা। সাথে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। যুব রেড ক্রিসেন্টের ১৮শ স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেকোনো জরুরি মুহূর্তে সেবাদানের জন্য। আমাদের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এখান থেকেই সার্বিক প্রস্তুতি মনিটরিং করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার আমাদের তত্ত্বাবধানে রেখেছি।

চট্টগ্রাম সিটি যুব রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ে আজ বিকাল ৪ টায় পূর্ব প্রস্তুতিমূলক জরুরি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর পরিপেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি যুব রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি কন্ট্রোল রুমের কাজ শুরু করা হয়। কন্ট্রোল রুমের নম্বর (০১৬০৩৯০০৯৭৭)। এছাড়া, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কন্ট্রোল রুমে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা সহযোগিতা প্রদান করছে। সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে সমুদ্র উপকূলবর্তী নগরীর ৩৮,৩৯, ৪০ ও ৪১ নং ওয়ার্ডে জনগণকে সচেতন করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে  মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।