জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে আযমীর বক্তব্য ব্যক্তিগত : জামায়াত সেক্রেটারি

প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে আযমীর বক্তব্য ব্যক্তিগত : জামায়াত সেক্রেটারি

সিলেট স্টারঃজাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর বক্তব্য তার ব্যক্তিগত কথা। এর ব্যাখ্যার দায় জামায়াতে ইসলামীর নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সহানুভূতি বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আব্দুল্লাহিল আমান আযমী জামায়াতে ইসলামীর সদস্য নন।সুতরাং তিনি জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে যা বলেছেন তা তার একান্ত ব্যক্তিগত মন্তব্য। এর ব্যাখ্যার দায় জামায়াতে ইসলামীর নয়। দেশের বিশিষ্ট ৪৮ জন নাগরিকের দেওয়া বিবৃতিতে ‘জামায়াতে ইসলামীর আমির জাতিকে অতীতের সব কিছু ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন’ বলে উল্লেখ করা হলেও জামায়াতের আমির এ ধরনের কথা বলেননি বলে জানান তিনি। তাই এমন বিবৃতির কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবে না জামায়াত বলে জানান দলটির কেন্দ্রীয় এই নেতা।জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, দেশের সংস্কার এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। গত ১৫ বছরে রাষ্ট্রযন্ত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। সংবিধানের সংস্কার ও ইলেকশন কমিশনের সংস্কার করতে হবে। আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে গত ১৫ বছরে দলীয়করণ হয়েছিল, সেগুলোর সংস্কার করতে হবে।অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গত ১৫ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করতে দীর্ঘ সময় লাগবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য সব সংস্কার সম্ভব না হলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে যেগুলো করা দরকার, এখন তা করাই বড় চ্যালেঞ্জ। প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে একটি নির্বাচনের আয়োজন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে মহানগর জামায়াতের আমির এ টি এম আজম খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল, জামায়াতের জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ সালাফী, মহানগর শিবিরের সেক্রেটারি নুরুল হুদাসহ নেতৃবৃন্দ। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সহায়তার অর্থ তুলে দেওয়া হয়।এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্যসহ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।