জাল ভোটে ছাত্রলীগ অ স্ত্র হাতে যুবলীগ

প্রকাশিত: ৩:২০ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২৪

জাল ভোটে ছাত্রলীগ অ স্ত্র হাতে যুবলীগ

সিলেট স্টারঃ বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে গোলাপগঞ্জে শেষ হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নানা অভিযোগে অভিযুক্ত মনিরুল হক পিনু নামে জেলা যুবলীগের উপ দপ্তর সম্পাদকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে সশস্ত্র মহড়ার অভিযোগ উঠেছে।

দল নিয়ে প্রতিপক্ষকে রাম-দা হতে ধাওয়ার দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।জানা গেছে, বুধবার (৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে নিজের সমর্থন দেওয়া প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্রে যান পিনু। এ সময় তার হাতে রাম-দা ছিল। আধিপত্য বিস্তার করতে সেটি নিয়ে কেন্দ্রের সামনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া করেন তিনি।

নির্বাচন চলাকালে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও প্রকাশ্যে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে রাম-দা হাতে মহড়ার বিষয়টি জেলাজুড়ে সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার কাইস্তগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ঘোড়া প্রতীকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ। সে সময় আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সুফিয়ান উজ্জ্বলের কর্মী সমর্থকরা একসাথে কেন্দ্রে ঢোকে। কেন্দ্রের বাইরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার জের ধরে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সুফিয়ান উজ্জ্বলের পক্ষে জেলা যুবলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক মনিরুল হক পিনুর নেতৃত্বে কর্মীরা প্রকাশ্যে কেন্দ্রের সামনে এসে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় আতঙ্কে ভোটারশূণ্য হয়ে পড়ে কেন্দ্রটি। উপস্থিত আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের নিভৃত করতে পারেনি। খবর পেয়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়।

তবে এ ঘটনায় ভোট গ্রহণে কোনো প্রভাব পড়েনি দাবি করেন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, ঘটনার পরও কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, বাইরে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে ভোটে কোনো প্রভাব পড়েনি।

বুধবার (৮ মে) সিলেট জেলার সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ; সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা; মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা এবং হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলায় ভোট গ্রহণ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়। প্রথম দিকে পরিস্থিতি ছিল শান্তিপূর্ণ। তবে বিকেল ৪টায় ভোট শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকেনি। চার দিন থেকে উত্তেজনার খবর আসছিল।

এই পরিস্থিতিতে ভোট শেষ হয়ে গণনা শুরু হয়। এখনও ফলাফল পাওয়া যায়নি।