আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে সবার সহযোগীতা করা উচিৎ : সাবেক মেয়র আরিফ

প্রকাশিত: ৮:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২৪

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে সবার সহযোগীতা করা উচিৎ : সাবেক মেয়র আরিফ

সিলেট স্টারঃ বর্তমানকে প্রশংসায় ভাসালেন সাবেক। রাজনৈতিকভাবে দু’জন দুই মেরুর বাসিন্দা। তবে পরস্পরের মধ্যে আন্তরিক শ্রদ্ধা ভালবাসা ও স্নেহ-মমতার অভাব নেই। অতীতে যেমন তার প্রমাণ দিয়েছেন তারা, তেমনি বর্তমানেও।

আর তারা দু’জন হলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সদ্যসাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
রোববারও তার প্রমাণ পেলেন সিলেটবাসী। সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে।

সিলেট প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠান শেষে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রশংসার পাশাপাশি তাকে সবার সহযোগীতা করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেছেন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত বছরের ২১ জুন। তবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্বপালন করছেন গত প্রায় ৫ মাস থেকে। এই সময়ের মধ্যে তিনি তার অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ক্লিন সিলেট ও হকারদের পূণর্বাসনের মাধ্যমে নগরীকে হকার্স মুক্ত করার কাজে বেশ সাফল্য অর্জন করেছেন।

রাজপথ দখল করে বাণিজ্যের উন্মাদ যন্ত্রনা থেকে এখন নগরবাসী মুক্ত। হকারদের তিনি নিয়ে গেছেন লালদিঘিরপারে। সেখানে তাদের জন্য সুযোগ সুবিধার পরিমাণ আগের চেয়ে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছেন। আর নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজেও আগের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করছে সিসিক’র পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।

আর এ দুটি ব্যাপারে যেমন সচেতন নগরবাসীর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে, তেমনি নজর কেড়েছে সদ্যসাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীরও।

তিনি ওই সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, নগরী এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। প্রতিদিনই কাজ হচ্ছে। নালা-নর্দমাগুলো প্রতিদিনই পরিস্কার করা হচ্ছে। তার দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র পাঁচ মাস হয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় সরকারে বর্তমান মেয়রের নতুন যাত্রা। এটিও বুঝতে হবে। তাকে প্রত্যেকটা এলাকা সম্পর্কে জানতে হবে, সমস্যাগুলো বুঝতে হবে। প্রচুর সমস্যা আছে। সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। তারপর সমাধান। কাজটি খুব কঠিন। তবে আমি আশাবাদী। আর মন্তব্য করতে হলেও অন্তত একবছর সময় দেয়া দরকার।

তিনি বলেন, বর্তমান মেয়রও বলেছেন, অন্যান্য সিটি থেকে আমাদের সিলেটের প্রকল্প গ্রান্ট অনেক কম। এটিও বুঝতে হবে। খাবার পানির সমস্যা সমাধানে আমাদের তিন বছর আগে গৃহিত প্রকল্প অনুমোদন হলে আজ এই সমস্যা থাকতোনা। তিনি ব্যবহার করতে পারতেন। আমাদের জলাবদ্ধতা সমস্যাও আছে। তাছাড়া সিটির আয়তনও এখন অনেক বেড়েছে। আমার ছিল মাত্র ২৭টি ওয়ার্ড। আর এখন বেড়ে প্রায় ৪২টি হয়েছে।

তিনি প্রত্যাশার ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমার চেয়ে প্রশাসনিক সহযোগীতা তিনি বেশি পাবেন বা পাচ্ছেন। সবচে বড় বিষয় হচ্ছে সরকার প্রধানের সাথে তার একটা গুড রিলেশনশিপ আছে। সেটা আমাদের জন্য একটা বাড়তি প্রাপ্তি।