শেখ হাসিনার জয় ভারতের কাছে যেসব কারণে গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২৪

শেখ হাসিনার জয় ভারতের কাছে যেসব কারণে গুরুত্বপূর্ণ

সিলেট স্টারঃবাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত কী অবস্থান নেয়, সেদিকে নজর ছিল সবারই। নভেম্বর মাসে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের সচিব দিল্লিতে এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সচিবদের সামনে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান জোরালোভাবে তুলে ধরেন।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষই স্থির করবে, সে দেশে নির্বাচন কিভাবে হবে। তখনই দেশটির অবস্থান বোঝা গিয়েছিল—চিরাচরিত মিত্রের পেছনেই দাঁড়াচ্ছে তারা।

তাই আওয়ামী লীগ বিপুল আসনে জয়ী হওয়ার পর প্রথম যে কয়েকজন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের ফোন আসবে ঢাকায়, তাদের মধ্যে যে নরেন্দ্র মোদির নাম থাকবে, সেটা আশ্চর্যের কিছু নয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরে মোদি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বললাম এবং সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করায় তাঁকে অভিনন্দন জানালাম।’

বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান অংশীদারিত্ব আরো দৃঢ় করার বার্তাও দিয়েছেন মোদি।

প্রতিবেশী দেশে স্থিতিশীল সরকার চায় ভারত বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে সব সময়ই ভারত স্বস্তিতে থাকে।

ভারত আর আওয়ামী লীগের মধ্যে সুসম্পর্ক যেমন ঐতিহাসিকভাবে থেকেছে, তেমনই শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার গত দেড় দশকে তা আরো দৃঢ় হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার ভিনা সিক্রি বলছিলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে যদি একটা ধারাবাহিকতা থাকে তাহলে অংশীদারিত্ব জোরদার হয়। আর ভারত সব সময়ই চাইবে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে একটা স্থিতিশীল সরকার থাকুক।

সিক্রি বলেছেন, ‘এর ফলে কূটনৈতিক সম্পর্ক বলুন বা বাণিজ্য অথবা যৌথ প্রকল্পগুলো—সব ক্ষেত্রেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে সুবিধা হয়।

দুই দেশই লাভবান হবে, এ রকম অনেকগুলো যৌথ প্রকল্প তো চলছে, শেখ হাসিনা আবারও জিতে আসাটা তাই ভারতের দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
সেই বার্তাটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিয়েছেন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরই।

সিক্রির কথায়, নির্বাচনের এই ফলাফল ভারতের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার থেকেও বড় বিষয় হলো, ‘বাংলাদেশের মানুষই তো ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ফিরিয়ে এনেছেন।

এই প্রসঙ্গে তাঁর কাছে যখন জানতে চাওয়া হয়, ভোটদানের হার তো বেশ কমই ছিল, সিক্রি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে বিপুল হারে ভোট পড়েছে তা বলব না। কিন্তু বহু দেশেই এ রকম অথবা আরো কম হারে ভোট পড়ে থাকে।

তাই এটা অস্বাভাবিক কিছু বলে আমি মনে করি না।