সহকারী রিটার্নিং অফিসারসহ চার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৪

সহকারী রিটার্নিং অফিসারসহ চার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

সিলেট স্টারঃ উপনির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন সংক্রান্ত সব দায়িত্ব থেকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (সাঘাটা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও) মো. ইসহাক আলীসহ চার কর্মকর্তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহারে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলীর রিট আবেদনে গতকাল বুধবার রুলসহ এ আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশন ও গাইবান্ধার জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বৃহস্পতিবার শুনানির পর আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দেন।
প্রত্যাহর হওয়া অন্য তিন কর্মকর্তা হলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব ও ফুলছড়ির উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চেম্বার আদালতের এ আদেশের ফলে হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকছে এবং দ্রুত এসব কর্মকর্তাকে ওই আসনের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।’

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ২০২২ সালের ২৩ জুলাই মারা গেলে তাঁর সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

পরে ওই বছর ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে ঢাকা থেকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি। বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে অনিয়মের কারণে কোনো সংসদীয় আসনের নির্বাচন পুরোপুরি (সব কেন্দ্র) বন্ধ করার ঘটনা এটিই প্রথম। পরে গত বছর ৪ জানুয়ারি ফের ভোট হয়। পুনর্ভোটে জয়ী হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হোসেন রিপন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব বা প্রক্রিয়া থেকে এ চার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করতে গত ১ জানুয়ারি ইসিতে আবেদন করেছিলেন বুবলী। সাড়া না পেয়ে ২ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। শুনানির পর রুলসহ আদেশ দেন উচ্চ আদালত।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সরকার ও ইসিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।