গোয়াইনঘাটে অস্ত্রসহ দুর্ধষ ডাকাত কামরুল সহ গ্রেফতার ০৪

প্রকাশিত: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩

গোয়াইনঘাটে অস্ত্রসহ দুর্ধষ ডাকাত কামরুল সহ গ্রেফতার ০৪

সিলেট স্টারঃ ‘সিলেট জেলার অপরাধ দমন, আসামী গ্রেফতার ও জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশ, সিলেট নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া জেলার সংঘটিত সংঘবদ্ধ অপরাধ, ভিকটিম উদ্ধার, মাদক, খুন, ধর্ষণ, চোরাচালান, পরোয়ানাভূক্ত ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে জেলা পুলিশ, সিলেট সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অভিযানিক দল গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ গোয়াইনঘাট থানাধীন ০৪ নং লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত সতি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী কামরুল ইসলাম(৩০), পিতা-ইছরাক আলী ২।জুলেখা বেগম(৫৫),স্বামী ইছরাক আলী@কালা মিয়া ০৩। রুনা আক্তার রুমি(২৩),পিতা-ইছরাক আলী ০৪।আব্দুল বাসিত(২২), পিতা- মৃত আব্দুস ছালাম,সর্ব সাং-সতি,থানা-গোয়াইনঘাট,সিলেটকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী কামরুল এর বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চোরাচালানসহ মোট ০৯টি মামলা রয়েছে যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।’ আসামীর বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট সিআর-২১/২২, ধারা-৩৭৯/৪৫৭/৫০৬(২) পেনাল কোড, গোয়াইনঘাট জিআর-১৬০/২৩, ধারা-৪১৩ পেনাল কোড, গোয়াইনঘাট জিআর-৩২৮/২২, ধারা-১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-বি, গোয়াইনঘাট জিআর-৩০২/২২, ধারা-৪৫৭/৩৮০/৪১১ পেনাল কোড ধারায় ০৪টি গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলতবী থাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩তারিখ রাত ১৯.৩০ ঘটিকার সময় তাহার নিজ বাড়ী গোয়াইনঘাট থানাধীন ০৪নং লেঙ্গুরা ইউনিয়নের অন্তর্গত সতী সাকিনস্থ বসত বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ‘অভিযানকালে এসআই(নিঃ)/কামাল হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ আসামী কামরুল ইসলাম এর বসতঘরে প্রবেশ করে কামরুল ইসলামকে ধৃত করার চেষ্টা করলে ডাকাত কামরুল ইসলাম তার কাছে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে পুলিশ সদস্যদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে দুইজন পুলিশ সদস্যকে গুরুতর জখম ও বাকী ০৭ জনকে আহত করে।এ সময় পুলিশ আত্নরক্ষার্থে এক রাউন্ড রাবার বুলেট ফায়ার করলে তা আসামীর ডান উরুতে বিদ্ধ হয়। ‘এসময় আসামী কামরুল ইসলাম এর মা ধৃত আসামী জুলেখা বেগম, বোন রুনা আক্তার রুমি ও আসামী কামরুল ইসলামের ফুফাতো ভাই আব্দুল বাসিত দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়া আসামী কামরুল ইসলামকে পুলিশের হেফাজত হতে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য অতর্কিতভাবে হামলা করলে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। পরবর্তিতে পরোয়ানাভুক্ত আসামী কামরুল ইসলামসহ আসামীদেরকে আটক করে আসামী কামরুল ইসলাম ও তার মাকে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ নিয়ে যাওয়া হয় এবং আসামী কামরুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। এসময় ঘটনাস্থল হতে ধারালো দা যা লম্বায় ২ ফুট, লোহার অংশ ১৭ ইঞ্চি, কাঠের অংশ ০৭ ইঞ্চি, ০১টি তিন ফুট লম্বা ধারালো তরবারি যার লোহার অংশের দৈর্ঘ্য ২৭ ইঞ্চি ও কাঠের বাটের দৈর্ঘ্য ৯ ইঞ্চি, ০১টি প্লাষ্টিকের হাতল যুক্ত চাইনিজ কুড়াল যা বাটসহ দৈর্ঘ্য ১৪ ইঞ্চি, যাতে লোহার অংশের দৈর্ঘ্য ৬ ইঞ্চি ও ধারালো অংশের দৈর্ঘ্য ৪ ইঞ্চি উদ্ধার করা হয়। উক্ত বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।’