সিলেট স্টারঃ অরাজনৈতিক কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা (সিকস), সিকস’র অঙ্গ সংগঠন সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা (সিবিযুকস) ও বাংলাদেশী প্রবাসীদের সবধরনের দাবি উপস্থাপনের বলিষ্ঠ সংগঠন সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা (সিপ্রকস) এর যৌথ উদ্যোগে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর ২০২৩) বিকাল ৫.৩০ ঘটিকায় সিকস’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিলেট কল্যাণ সংস্থা (সিকস ২০২৪-২০২৭) ও সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা (সিবিযুকস ২০২৪-২০২৬)-এর প্রস্তাবিত কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ৩য় সভা ও ১৭তম সাপ্তাহিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেট মহানগরীর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও যানজট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়।

আলোচনাকালে বক্তারা বলেন, হযরত শাহজালাল (রহঃ) ও হযরত শাহপরাণ (রহঃ) এর আধ্যত্মিক স্মৃতি বিজড়িত পূর্ণভূমি সিলেটে প্রতিদিন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটনপ্রেমী পর্যটক সহ বাংলাদেশী প্রবাসীরা শিকড়ের টানে সিলেট মহানগরীতে আসেন। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রায় এলাকা যত্রতত্র গাড়ি পাকিংয়ের ফলে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। যানজটের ফলে সিগনালের মধ্যে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরী হয়। এতে যানজটে যানবাহন নিয়ে চলচলে সর্বস্তরের নাগরিকসহ পর্যটকদের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হয়। যত্রতত্র গাড়ি পাকিংয়ের ফলে মনে হয় নগরীতে এসব দেখার কেউ নেই! বক্তারা আরো বলেন, সিলেট নগরীর বিভিন্ন সৌন্দর্য উপভোগে ঘুরতে আসেন বিনোদনপ্রেমী মানুষেরা। বাইরের জেলা থেকে আসা মানুষেরাও সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমান বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। অথচ বিনোদন কেন্দ্রের সড়কের দুই পাশ দখল করে রেখেছে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন। দেখে মনে হয় যেন গাড়ির ষ্ট্যান্ড। নগরীর বন্দরবাজার, মহাজনপট্রি, কালিঘাট, জিন্দাবাজার, জল্লারপার, চৌহাট্রা, আম্বরখানা, রিকাবীবাজার স্টেডিয়াম মার্কেট, সুবিদবাজার,কাজলশাহ, লামাবাজার, জিতুমিয়ার পয়েন্ট, তালতলা, ধোপাদিঘিরপাড়, ভার্থখলা, কদমতলী, মেন্দিবাগ পয়েন্ট, মিরাবাজার, শিবগঞ্জ, টিলাগড়, মেজরটিলা, শাগহপরাণ সহ প্রায় প্রতিটি অলিগলির রাস্তায় বেশিরভাগ সময়ই অবৈধ গাড়ি পাকিংয়ের কারণে যানজট লেগেই থাকে। এসব অবৈধ গাড়ি পাকিং ও যানজটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘুরতে আসা সাধারণ মানুষ ও পর্যটকেরা। সভা থেকে সিলেট মহানগরীর সর্বসাধারণের সুবিধার্থে আধ্যাত্মিক রাজধানী পর্যটন নগরী সিলেটের অবৈধ গাড়ি পাকিং ও যানজট নিরসনে বাস্তবভিত্তিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান সংস্থাগুলোর নেতৃবৃন্দ।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতীয় যুব দিবস ২০১০-এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত, দক্ষ, কর্মমূখী, গতিশীল যুব সমাজের স্বপ্নদ্রষ্টা ও ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচীর উদ্ভাবক সিলেট বিভাগের সামাজিক যুব কার্যক্রমের কর্ণধার সংগঠন গুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের সভাপতিত্বে ও সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মোঃ ফোজায়েল আহমদ, মোঃ রুবেল মিয়া, মোঃ মহিবুর রহমান মুহিব, দিপক কুমার মোদক বিলু, মোঃ নজমুল হুসাইন, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, আব্দুল মুকিত, মোঃ আনিসুর রহমান চৌধুরী লিমন ও মোঃ আব্দুস শহিদ।

উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর শনিবার “বিজয় দিবস ২০২৩ হউক, ঘুষখোর ও দুর্নীতিবাজমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় এরই আলোকে আলোচনা সভা ও ১৬তম সাপ্তাহিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।