সিলেটে গণসমাবেশ: ‘আবাসন’র দ্বায়িত্বে মেয়র আরিফ

প্রকাশিত: ৩:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২২

সিলেটে গণসমাবেশ: ‘আবাসন’র দ্বায়িত্বে মেয়র আরিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের গণসমাবেশ ঘিরে সতর্কাবস্থান অবলম্বন করছে বিএনপি। অন্যান্য স্থানে বিভাগীয় গণসমাবেশগুলোয় নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হওয়ায় সিলেটে তাঁরা আগে থেকেই করছেন নানা পরিকল্পনা। কোন ভাবেই যাতে সমাবেশ কোন বাঁধার সম্মুখিন না হয় সে অনুযায়ী এগুচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এজন্য একাধিক কমিটিও করেছেন ইতোমধ্যে। এর মধ্যে আগে-ভাগেই যাতে নগরীতে লোক এনে রাখা যায় সেজন্য ‘আবাসন ব্যবস্থাপনা’ কমিটি করা হয়েছে। আর এর দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে। কেন্দ্রের মতে মেয়র আরিফ এবিষয়ে বেশ পারদর্শী। ‘তিনি চাইলেই আগেই লক্ষাধিক লোক সিলেটে এনে রাখতে পারবেন’।

‘আবাসন ব্যবস্থাপনা’ কমিটিসহ গণসমাবেশ সফলে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে ছয়টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলোকে কেন্দ্রীয় নেতারা সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান ও দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

দু-এক দিনের মধ্যে বিভাগজুড়ে মাইকিং শুরুর ব্যাপারে শনিবার আলোচনা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে এসব কথা জানা গেছে।

গণসমাবেশ সফলের দায়িত্বে থাকা এক নেতা জানান, সিলেটেও সমস্যার সৃষ্টি হবে-ধরে নিয়েই তারা সমাবেশের আয়োজন করছেন। আর এজন্য ‘মুশকিল আসান’ হিসাবে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরিফ অত্যন্ত কৌশলী। চাইলে সমাবেশের দুদিন আগেই তিনি নগরীতে লক্ষাধিক মানুষকে ঠাঁই দিতে পারেন।

সমাবেশের জন্য জনতার উপস্থিতিই প্রথম ও প্রধান নিয়ামক। গণসমাবেশে চার লাখ মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করার টার্গেট নিয়ে প্রচারণা জোরদার করেছে বিএনপি। বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে কৃত্রিম পরিবহণ ধর্মঘট আহ্বান, লোক সমাগমে কৌশলী বাধার ব্যাপারে বিএনপি এখন সতর্ক।

ছয়টি কমিটির ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, কমিটিগুলোতে ছয়জনকে আহ্বায়ক করা হলেও জেলা, উপজেলা, নগরীর ওয়ার্ড কমিটিসহ নেতৃস্থানীয় সবাইকে কমিটিগুলোতে রাখা হয়েছে। কমিটিগুলোর মধ্যে ‘আবাসন ব্যবস্থাপনা’ কমিটিতে আহ্বায়কের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরকে করা হয়েছে ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক। ‘প্রচার ও মিডিয়া’ কমিটিতে আমি সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী আছি। ‘অভ্যর্থনা’ কমিটিতে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী, ‘আপ্যায়ন’ কমিটিতে মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন এবং ‘দপ্তর কমিটি’তে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ূন কবির শাহীনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।

এসব কমিটিতে রয়েছেন-বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট বিভাগের দায়িত্বরত বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ, ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী ও মিজানুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিকে গৌছ, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী।