জকিগঞ্জে সুরমার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রাম

প্রকাশিত: ১:১৭ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০২২

জকিগঞ্জে সুরমার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রাম

এম বাংলা প্রতিবেদকঃতলিয়ে গেছে মাছ চাষের শতাধিক পুকুর ও ফিসারী। পানি নিস্কাশনে প্রতিবন্ধকতা থাকায় তলিয়ে গেছে জকিগঞ্জের প্রধান ডাকঘর, প্রাণী সম্পদ অফিস, স্থলশুল্ক স্টেশন, জকিগঞ্জ ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসা, জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের একাংশ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। এতে বিভিন্ন এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।বারহাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী  জানান, ইউনিয়নের নোয়াগ্রাম, উত্তর কিলোগ্রাম, চকবারাকুলি, শরীফাবাদ, শাহগলী বাজার ও কচুয়া এলাকায় সুরমা ডাইক ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত করেছে, তলিয়ে গেছে প্রায় ১ হাজার হেক্টর বোরোধান। বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।বীরশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার জানান, সুপ্রাকান্দি ও বড়চালিয়া গ্রামের বেঁড়ীবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও মানিকপুর ইউনিয়নের বাল্লার বেড়িবাঁধ টি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রঘুরচক-আকাশমল্লিক এলাকা দিয়েও সুরমানদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু জাফর মো. রায়হান বিষয়টি জানিয়েছেন।কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলকারনাইন লস্কর জানান বড়বন্দ গ্রামে বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রাম গুলো তলিয়ে যায়। তবে আটগ্রাম এলাকার বাঁধ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।হাওরের পানিও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জকিগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঝুঁকিপূর্ণ ও ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন। তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা উর্ধ্বতন কর্মকতাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৮ টন চাল বরাদ্ধ হয়েছে  বলে জানান তিনিজকিগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পল্লব হোম দাস জানান, ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন সরেজমিনে রয়েছেন। ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।