নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটে বেশ কিছুদিন থেকেই সয়াবিন তেল নিয়ে চলছে তুলকালাম কান্ড। পাইকারী বাজারের বিভিন্ন গুদামে সয়াবিনে ঠাসা থাকলেও খুচরা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না এই ‘আলাদিনের চেরাগ’। যদিও কোন দোকানে সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছিল সেখানে ৫ লিটার বোতল কিনতে হলে ক্রেতাদের গুনতে হয়েছে ৭৫০ টাকার স্থলে ৯৮০ টাকা।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ ক্রেতাদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সয়াবিন তেল কিনতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
নগরীর জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, শিবগঞ্জ, মদিনা মার্কেটসহ কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় প্রত্যেকটি দোকানেই সয়াবিন তেলের সংকট রয়েছে। ক্রেতারা বোতলের গায়ে লেখা মুল্যের চেয়েও অতিরিক্ত মুল্যে ক্রেতারা তেল কিনতে হয়েছে।
এরকম পরিস্থিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেটে নিয়মিত অভিযান চালালেও তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কৌশলে সাধারণ ক্রেতাদের জিম্মি করে রেখেছেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১০ মে) দিনভর সিলেট নগরীর পাইকারি বাজার কালিঘাটে অভিযান চালিয়েছে। এসময় কালিঘাটের মাহের ব্রাদার্স নামক দোকানের গুদাম থেকে ৫ টন মজুদকৃত সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়। পরে সেই পুরো ৫ টন সয়াবিন আগের দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মাহের ব্রাদার্সকে জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) শ্যামল পুরকায়স্থ।
এসময় শ্যামল পুরকায়স্থ জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আগের দামে কেনা সয়াবিন তেল নতুন বাড়তি দামে বিক্রি করে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন এমন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পাই। কালিঘাটে মাহের ব্রাদার্স নামক দোকান সেই অপকর্ম করছে। তাই আমরা হাতেনাতে বিষয়টি ধরে তাদের গুদামে স্টক করে রাখা ৫ টন সয়াবিন তেল আমরা দাঁড়িয়ে থেকে বিভিন্ন দোকানি ও সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করেছি।
জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি গণমাধ্যমকে জানান।

এমএনআই