গুলশানের আজাদ মসজিদে মুহিতের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

প্রকাশিত: ৪:০২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২২

গুলশানের আজাদ মসজিদে মুহিতের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

এম বাংলা ডেস্কঃসাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সংসদ প্লাজায় অনুষ্ঠিতব্য তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনিবার্য কারণে বাতিল করা হয়েছে।

আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ রাখা হয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকে। সেখানে তাকে শেষবারের মতো দেখতে বন্ধু-পরিজন-শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভিড় করেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। প্রথম জানাজায় আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালসহ সরকারের বিভিন্ন এমপি, আমলা ও তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা অংশ নেন।

সংসদ ভবনের সামনে জানাজার আয়োজন না করার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, দুই বছর ধরে করোনার কারণে সংসদ ভবনের সামনে কারো জানাজা আয়োজন করা যায়নি। গতকাল আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে মুহিত ভাইয়ের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা শেষে সিলেটে নিয়ে দাফন করা হবে।

বার্ধক্যজনিত কারণে কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মনোনয়নে সিলেট-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ বার বাজেট ঘোষণা করেন মুহিত।

১৯৩৪ সালে সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম তার। তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের নেতা আবু আহমদ আবদুল হাফিজের দ্বিতীয় ছেলে মুহিত। তার মা সৈয়দ শাহার বানু চৌধুরীও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। মুহিতের ছোট ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি সরকারি কর্মকর্তার সর্বোচ্চ পদ সচিব, মন্ত্রী, অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিক, লেখক, গবেষক, পরিবেশবিদ ইত্যাদি নানা পরিচয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে গেছেন।