মেয়র আরিফের বেত্রাঘাত: সিলেটজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২২

মেয়র আরিফের বেত্রাঘাত: সিলেটজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিসিক মেয়র আরিফের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন না, আগেও একবার উঠেছিল। কঠোর সমালোচনার তীরে বিদ্ধও হয়েছিলেন তিনি। এবার আবার সেই একই অভিযোগ। সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করার নীতি মেনে নিতে পারছেন না নেটিজেনরা। আর তাই আবারও তারা মুখর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চলছে সমালোচনার তীর।

শনিবার ( ২৩ এপ্রিল ) সিলেট মহানগরীর চৌহাট্টা এলাকায় আবারও এক ভ্যানওয়ালাকে বেত্রাঘাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সেই ছবি দেখেই নেটপাড়ায় শুরু হয় কঠোর সমালোচনা। এমনকি কেউ কেউ গালাগালও দিয়েছেন। আর কেউ কেউ বলছেন, যখন এ ঘটনা ঘটান মেয়র আরিফ, তখন ঐ এলাকায় যানজট ছিলনা। এ অবস্থায় মেয়রের এমন আক্রমনাত্মক হয়ে উঠার বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।

তাই তারা তার কঠোর সমালোচনা করছেন। কেউ কেউ বলেছেন, নগরবাসীর স্বচ্ছন্দে চলাফেরার চেয়েও তার কাছে বড় আলোচনায় থাকা। এ কারণেই তিনি প্রায়ই বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে বেড়ান।

কেউ কেউ আরও অতীতে ফিরে যাচ্ছেন। স্মৃতি হাতড়াচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের। সিসিক মেয়র তখন একজন কমিশনার হিসাবে থাকলেও নিজের দল ক্ষমতায় থাকায় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে সমালোচিত হয়েছিলেন।

সমালোচনার আরও কারণ আছে। সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন রাস্তায় অসংখ্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে নগরীর যানজটের জন্য দায়ী। মেয়র সে ব্যাপারে তেমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কেন? প্রশ্ন সমালোচকদের। তাছাড়া, তাকে কেউ কেউ ‘শক্তের ভক্ত নরমের যম’ বলেও অভিহিত করছেন।

তবে এসব বিষয়কে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ঘটনার পর রাতে একাধিক টিভি চ্যানেলের সাথে আলাপকালে তিনি বেত্রাঘাতের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, আমি কেবল ধমক দিয়েছি।

আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে মেয়র বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে। আমরা পুলিশ সিটি করপোরেশন পরিবহন মালিক-শ্রমিক মিলে বৈঠক করেছি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মা বোনসহ নগরবাসী যাতে স্বচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে পারেন- সেজন্য কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা বা আম্বরখানা সড়কে কোন যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা যাবেনা। যত্রতত্র যাত্রী উঠানামাও নিষেধ করা হয়েছে। অন্তত সকাল ১০টা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত এ নিয়ম মানতে সবাইকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু তবু কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী এসব মানতে রাজী নয়। তারা জনগনের ভোগান্তিকে পাত্তা না দিয়ে কেবল নিজের স্বার্থটাকেই বড় করে দেখছেন। আর বিশৃঙখলা সৃষ্টি করছেন।

কঠোর সমালোচনা প্রসঙ্গে মেয়র আরিফ বলেছেন, আমিতো আর দোষের উর্ধ্বে নয়। আমার কাজ কারও চোখে ভালো না লাগলে তিনি সমালোচনা করতেই পারেন। তবে আমার কাছে সবার আগে নগরবাসীর স্বার্থ। তারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাদের সুবিধা অসুবিধা দেখার জন্য। আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি।

তিনি পরিস্থিতি বুঝে বিচার বিশ্লেষণ করে সমালোচনা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।

এমএনআই