প্রতি রাতে কোমলমতি শিশুদের বলাৎকার করতেন অধ্যক্ষ দেলোয়ার

প্রকাশিত: ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ, মে ২৫, ২০২১

প্রতি রাতে কোমলমতি শিশুদের বলাৎকার করতেন অধ্যক্ষ দেলোয়ার
রুহিন আহমদ-সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ৪ হিফজখানায় শিক্ষাগ্রহণ কারী শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করার অভিযোগে অত্র মাদ্রাসার প্রধান অধ্যক্ষকে আটক করেছে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ।অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম সৈয়দ দেলওয়ার হোসেন। এসময় জানা যায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দ গ্রামের সৈয়দ আবু বক্করের ছোট ছেলে ও দক্ষিণ সুরমা এলাকার মেনিখলায় অবস্থিত শাহজালাল তমজিদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ দেলওয়ার হোসেন।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঐ আবাসিক অনাবাসিক এতিমখানা মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝ রাতে অধ্যক্ষ তার বিলাসী আরাম আয়েসি করার একান্ত কামরায় ডেকে নিয়ে আল্লাহ, রাসুলের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে  নিজের বিকৃত যৌণ লালসা পূরণ করতেন।তেমনই এক যৌণ লালসার শিকার সিলাম এলাকার শিশু শিক্ষার্থী তামিম। শনিবার তার পরিবারের কাছে জানায় এসব কুকর্মের কথা।ঘটনার পর যখনই পুরো মাদ্রাসায় হুলস্থূল শুরু হয় তখনই আচমকা এসে আরও ৩ শিশু শিক্ষার্থী একই অভিযোগ করে তামিমের পরিবারের কাছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অপর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে চালু করেন জরুরি সেবার  ৯৯৯- আর এ কলের মাধ্যমে বিস্তারিত প্রশাসন কে অবগত করেন উপস্থিত অবিভাবক’রা ।সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিলেট মেট্রো পলিটন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার একদল চৌকস পুলিশের টিম।
রবিবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ অত্র মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে অধ্যক্ষকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনার রাত ৯টার দিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ চলে এক পর্যায় শিকার করেন তিনি বলাৎকারের কথা।ঠিক এমনটি জানান দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম।এসময় (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন,  নিজের দোষ স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ। বর্তমানে তাকে থানাহাজতে রাখা হয়েছে।  (সোমবার) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
অন্যদিকে একাধিক সুত্র জানায়,এর আগেও তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বরায়া উত্তর ভাগ মসজিদের ইমাম থাকা অবস্থায় সেখানেও মাদ্রাসা নির্মান করে অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে বিতাড়িত হন। পরবর্তীতে অত্র ইউনিয়নের নতুন জামে মসজিদের ইমাম হিসাবে যোগদান করেন সেখানে কিছুদিন যাওয়ার পর আবারও তৈরি করেন হাফিজিয়া মাদ্রাসা। বেশ রমারমা ভাবে চলছিল মাদ্রাসাটি হঠাৎ ধরা পড়ে ভদ্র মুখো সের আড়ালে তার বলাৎকারের দৃশ্য সাথে সাথে অত্র এলাকায় ছড়িয়ে পরে সেই যৌন লালসার কুর্কমের কিচ্ছা কাহিনী শুরু হয় এলাকায় দুই পক্ষের উত্তেজনা। একপর্যায়ে মাইকে ডাকা ডাকি করে দুই পক্ষের মাজে শুরু  হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
সেদিনের ঘটনায় বন্দ থাকে জকিগঞ্জ সিলেট সড়কের যানবাহন আটকা পড়েন দূর দূরান্তের অসংখ্য মানুষ।একপর্যায়ে সেখান থেকেও বিতাড়িত হন সৈয়দ দেলওয়ার হোসেন। এরকম অসংখ্য ঘটনার জন্ম দিয়েছেন এই বিতর্কিত আলেম নামের হিংস্র দানব।কথায় আছে পাপ বাপ কেউ ছাড়েনি,’হয়তবা ভূলে গিয়েছিলেন সুন্নি মছলকের এই ইসলামী চিন্তাবিদ সর্বশেষ ধরা পড়লেন তার বিকৃত যৌণ লালসার শিকার হওয়া শিশুদের জালে।অপরদিকে পরিবার সুত্রে জানা যায়, সৈয়দ দেলওয়ার হোসেন ছাত্র জীবনের লেখা পড়া শেষ করে পেশা হিসাবে মসজিদের ইমামতী বেচেঁ নিয়েছিলেন।চাকরির সুবাদে যে মসজিদে চাকরি করেছেন সেখানে তিনি বিবাহিত বলে পরিচয় দিতেন বাস্তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেল মধ্য বয়সী এই অধ্যক্ষ এখনো বিয়েও করেন নি। পরিবারের সিদ্ধান্তে একবার বিয়ের কথা পাকাপাকি হলেও প্রবাসী সেই মহিলা বিয়ে না করেই চলে যান প্রবাসে।সেই থেকেও আজ অবধি বিয়ের পীড়িতে বসেননি তিনি।সচেতন নাগরিক অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন এ সকল আলেম নামধারী ব্যাক্তিদের কারণে গোটা আলেম সমাজ প্রশ্নবিদ্ধ।এই সকল অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে মাদ্রাসায় ভর্তি করাতে চান না ছোট্ট এসব সোনামণিদের। তাই সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষের দাবি দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদেরকে আরও কঠোর হতে হবে।তা না হলে এই সকল কোমলমতি শিশুদের জীবন এক অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।