মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ৪:০১ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২১

মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

নগর বার্তা ডেস্কঃএটাই সিলেটবাসীর কাছে চিরচেনা দৃশ্য। কিন্তু গেলো দুই বছর থেকে এটা কল্পনাতীত।কারণ, অদৃশ্য এক ভাইরাসে পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। এক কথায় বলতে গেলে এবারও ঈদ উৎসব আনন্দ-খুশির ডালায় নয়, এসেছে শঙ্কা-অনিশ্চয়তার বার্তা নিয়ে। এভাবে বিগত বছরের মতো এবারও ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে পালিত হচ্ছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ উল ফিতর। আর করোনা পরিস্থিতির মাঝে এ উৎসব পালনে সরকারি বিধিনিষেধ তো আছেই।এসবের মাঝে মসজিদে মসজিদে বৈশ্বিক মহামারী করোনা মুক্তির প্রার্থনা ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে সিলেটে ঈদুল ফিতরের জামাত শেষ হয়েছে। একেক মসজিদে একেক সময়ে শুরু হলেও সকাল ৭টায় কালেক্টরেট মসজিদে নগরীর প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ওই মসজিদে ঘন্টার ব্যবধানে অনুষ্ঠিত হয় চারটি ঈদ জামাত।সকাল সাড়ে সাতটায় কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ঘন্টার ব্যবধানে তিনটি জামাতে অংশ নেন মুসল্লিরা।এদিকে করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধিনিষেধের মাঝে সিলেটের শাহী ঈদগাহসহ জেলার ৫২০ ঈদগাহে এবার হয়নি ঈদের জামাত। এমন বাস্তবতায় সকাল সাড়ে ৮ টায় সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে হজরত শাহপরান (রহ.) মাজার মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। এছাড়া গাজী বুরহান উদ্দিন (রহ.) মাজার মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদ আনন্দের সবকিছুতেই ছিল এক ধরণের শূন্যতা।ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলির মধ্য দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগির রীতি থাকলেও এবার করোনা পরিস্থিতিতে এর উপর ছিল নিষেধাজ্ঞা। এছাড়াও নামাজে প্রবেশের সময় সকল মুসলমানদের জায়নামাজ পরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এমনকি সকল মুসল্লিদের হ্যান্ড স্যানিটাইজ করিয়ে প্রবেশ করানো হয়। তবে মুসল্লিরা স্বাস্থ্যবিধি আংশিকভাবে মানলেও নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকেনি কোথাও। তবে সকল মসজিদের মোনাজাতে ছিল বৈশ্বিক মহামারী করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ প্রার্থনা।ঈদুল ফিতরকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে সিলেটে তিন স্তরের নিরাপত্তা ছিল পুলিশ প্রশাসনের। ঈদ জামাতকে ঘিরে শাহজালাল (র.) মাজার মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে এ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়।সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) জানিয়েছে, মহানগরীর ৬টি থানা এলাকার প্রায় ১ হাজার ১০০ মসজিদে এবার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এসব জামাতকে ঘিরে তিন ভাগে বিভক্ত করে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল পুলিশ সদস্যারা।সিলেট মহানগর পুলিশ সূত্র জানায়, পোশাকধারী পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা (ডিবি) ও বিশেষ শাখা (সিটিএসবি) পুলিশের সমন্বয়ে টিম মাঠে নিরাপত্তায় কাজ করে। তাছাড়া মাঠে ছিল র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)-৯ এর টইল দলও। সব মিলিয়ে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সিলেটের সকল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।