হাতকড়া পরানো হয়নি হেফাজতের মামুনুলকে

প্রকাশিত: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২১

হাতকড়া পরানো হয়নি হেফাজতের মামুনুলকে

নগর বার্তা ডেস্কঃদীর্ঘ নজরদারি শেষে মামুনুলকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্তের পর শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাত থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার আশপাশে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন অবস্থান নেন। সকালের দিকে মাদরাসা এলাকায় বাড়ানো হয় পুলিশ সদস্যের সংখ্যাও। দুই শতাধিক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয়।এসময় দেখা যায় মামুনুল হককের হাতে হাতকড়া নেই। প্রেফতারের সময় পুলিশ বলে আপনাকে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে- পুলিশের এ কথা শোনার পর শান্তভাবে হেঁটে মাদরাসা থেকে বের হয়ে আসেন।পুরো সময়ে তাকে কেন হাতকড়া পরানো হয়নি- এমন প্রশ্নে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ বলেন, মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করাটাই মুখ্য বিষয়। তাকে গ্রেপ্তার করে আমরা নিয়ে এসেছি। এ সময় তাকে হাতকড়া পরানো বা না পরানোর নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই।নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামি হেফাজত নেতা মামুনুলকে গ্রেপ্তারের সময় হাতকড়া পরানো না হলেও সাংবাদিক প্রবীর সিকদার, ফটোসাংবাদিক কাজল, কার্টুনিস্ট কিশোর, কারাগারে মৃত্যুবরণকারী লেখক মুশতাক কিংবা খুলনার শ্রমিক নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তারের সময় ঠিকই হাতকড়া পরানো হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলের মধ্যে।এর আগে সংশ্লিষ্টরা জানান, মামুনুলকে গ্রেপ্তারে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন-অর-রশীদসহ কয়েকজন মাদরাসার ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে মামুনুল হককে বলা হয়, ‘আপনাকে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে।’ পরে মামুনুল হক স্বাভাবিকভাবেই হেঁটে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মাদরাসা থেকে বেরিয়ে আসেন।মামুনুলের হাতে গ্রেপ্তারের সময় হাতকড়া পরানো হয়নি। তার সঙ্গে মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষককে হেঁটে আসতে দেখা যায়। এ সময় মামুনুল স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে এগিয়ে যান। মাদরাসা থেকে বের হওয়ার পর একটি গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিসি হারুনের কার্যালয়ে।বের হওয়া ও গাড়িতে তোলার সময় হেফাজত কিংবা মাদরাসার কেউই মামুনুলের গ্রেপ্তারে বাধা দেয়নি। তবে মামুনুলকে গাড়িতে তোলার পর কয়েকজনকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ বিষয়ে ডিসি হারুন-অর-রশিদ বলেন, মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় আমরা কোনো বাধার সম্মুখীন হইনি।এদিকে মামুনুলের গ্রেপ্তারের পর মোহাম্মদপুর মাদরাসার সামনে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে নারীসঙ্গীসহ স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হওয়ার পর ছাড়া পেয়ে রাতেই ঢাকায় চলে আসেন তিনি। ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিংয়ের নিজ বাসায় না গিয়ে তিনি পাশেই জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় যান।মাদরাসা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে- এ কারণে পাশেই নিজের বাসা হলেও তিনি সেখানে যাচ্ছিলেন না। পরে দীর্ঘ নজরদারির পর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়।