দিনে জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ”রাতে সোহেল কে জবাই করে হত্যা।

প্রকাশিত: ৪:২৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২১

দিনে জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ”রাতে সোহেল কে জবাই করে হত্যা।

রুহিন আহমদঃ কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার সাহাজী বাড়ীর মৃত জাফর আহমদ পাটোয়ারী ছেলে সোহেল পাটোয়ারীকে মুদাফরগুন্জ বাজারের পাশে ব্রিজের সাথে মনোয়ারা এন্টারপ্রাইজ দোকান থেকে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন।নামাজী পরহেজগার আল্লাহওয়ালা সহজ সরল ব্যবসায়ী সোহেল পাটোয়ারী।  কে বা কারা রাতের আঁধারে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায় সোহেল পাটোয়ারী কে।গত সপ্তাহের মঙ্গলবার( দিবাগত রাত ১১ টার দিকে সোহেলের নিজ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সোহেল এন্টারপ্রাইজ দোকানটি বন্দ করে তার দোকানের পিছনে নিজের বসত ঘরে যাওয়ার পথে খুনিরা খুন করে তাকে।পরে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় মেডিকেলে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পরদিন বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে বাদ আসর তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পূর্ণ হয়।এরই মধ্যে সোহেল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন মুদাফরগঞ্জ বাজারের সকল ব্যবসায়ী ও এলাকার মানুষ।শনিবার সকালে মুদাফরগঞ্জ বাজারে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।এসময় বক্তারা বলেন,সোহেল খুব ভালো ও ভদ্র সামাজিক ছেলে ছিলো। কখনো এলাকার কোন মানুষের সাথে তাহার কোন বিরোধ হয় নি।সবার সাথে মিলেমিশে চলাফেরা করতো সোহেল।এরকম একটি ভালো ছেলে এভাবে চলে যাবে সেটা আমরা কল্পনা করতে পারি নাই।তাই সোহেল কে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে অতিদ্রুত যেন আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।অন্যদিকে` এলাকার একাধিক ব্যাক্তির সুত্রে জানা যায়।নিহতের চাচা ফারুক মাষ্টারের নেতৃত্বে সোহেল হত্যার আগেরদিন তার বসত ভিটার সামনে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের ধারা জায়গা দখল করে একটি ঘর নির্মাণ করেন।এসময় একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় ডাবুরিয়া মুড়া কোটা এলাকার বখাটে মাদক কারবারি ও চিহ্নিত সন্তাসী যারা সোহেল কে সামনে রেখে তার ঘরের সামন দখল করে ঘর নির্মাণ করে।লাকাবাসী ধারণা করছেন সোহেল পাটোয়ারী হত্যাকাণ্ডে এই গ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জড়িত থাকতে পারে।শনিবার লক্ষীপুর ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের কয়েকশত পুরুষ দলমত-নির্বিশেষে সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন।সেই সাথে সোহেল পাটোয়ারীর দুই বাচ্ছা পিতা হত্যার বিচারের দাবীতে অংশগ্রহণ করে বিক্ষোভ মিছিলে।তাদেরকে দেখে শোকে কাতর হয়ে পড়েন মানবন্দনে আশা কয়েকশত লোক।অবুুুঝ ২টি বাচ্ছার চোখের পানি দেখে যে কারোরই মন ক্ষেপে উঠবে।এ সময় বক্তব্য দেন বাজার ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম, মনিরুল আলম, মফিজুর রহমান,দুলাল পাটোয়ারী, সোহাগ পাটোয়ারী, আবদুল হক, মিজান,শাখিল, এহাছান, টাইগারসহ স্কুল-মাদ্রাসা শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।এ ঘটনায় নিহতদের স্বজন বাবুল মিয়া বাদী হয়ে গত ১৭ মার্চ বরুড়া থানায় নিহতের চাচা ফারুক মাষ্টারের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত কয়েকজন কে আসামি করে তাদের মামলা করেন।