মৃত্যু কাফন দাফনঃ মৃত্যু বা তিরোধান

প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১

মৃত্যু কাফন দাফনঃ মৃত্যু বা তিরোধান

রুহিন আহমদঃজীব বলতে বোঝা যায় যে,তা মরণশীল,চাই সে আশরাফুল ,মাখলুকাত মানুষ হোক বা গরু বাছুর বা অন্য কোন প্রাণীই হোক না কেন তাকে অবশ্যিই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। তাই তো আল্লাহ বলেছেন-كلو نفسن جايكاتول موت অর্থ হচ্ছে প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করবে।অনত্র আল্লাহ ঘোষণা করে বলেন-عيناما تاكونو إدريك كومول ماوت ولاو كونتو في بروجيم مشيادة অর্থ হচ্ছে তোমরা যেখানেই অবস্থান কর না কেন মৃত্যু তোমাদেরকে প্রাস করবেই যদিও তোমরা সুরক্ষিত দূর্গে অবস্থান কর।হযরত আদম (আ) হতে আদ্যবধি যত লোক দুনিয়াতে আগমন করেছে তাদের প্রত্যকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করেছে।

 

যারা বর্তমানে বিদ্যমান আছে তারাও একদিন মৃত্যু মুখে পরিনিত হবে।”যারা ভবিষ্যতে আসবে তারাও হযরত আজরাঈল (আ) এর হাত থেকে মুক্তি পাবে না। ধনী কিংবা গরিব হোক সকলকেই মৃত্যুর তিক্ত স্বাদ গ্রহন করতেই হবে।”বর্তমানে বিজ্ঞানের যুগে অনেক কিছুই আবিস্কার হয়েছে কিন্তু মৃত্যু থেকে বাঁচার কিছুই আবিস্কার করতে পারেন নি আর কোনদিন পারবে ও না।কথায় বলে ‘শেষ ভালো যার সব ভালো তার’তাই যে ব্যাক্তি সায়েহ্নে ঈমানের সাথে ইহরাম ত্যাগ করতে সাধারণত মৃত্যু কালে ঈমান নসীব হয় না।তবে মৃত্যুর পূর্বে যুদি তার তওবা করেন তবে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল ও দয়ালু।”কেউ বলতে পারবে না তার মৃত্যু কখন আসবে।তাই সর্বদাই মৃত্যুকে স্মরণ রাখা উচিত।আর মৃত্যুর কথা সর্বয়াদ মনে থাকলে মানুষ কখন অশ্লীলতায় লিপ্ত হতে পারে না।

এ কারণেই তো প্রিয় নবী (সা) ইরশাদ করেছেন-أخيرو جي كا ها جميل لاجاة الموت অর্থ হচ্ছে সকল স্বাদ বিনিষ্টকারী মৃত্যুকে অধিক স্মরণ কর।আর যে ব্যাক্তি সর্বদা মৃত্যুকে স্মরণ করে তাকে তিনটি জিনিষ প্রধান করা হয়”।

১ মৃত্যুর পুর্বে তার তওবা নসীব হয়.২ সে ব্যাক্তি সম্পদেই তুষ্ট তাকে.৩ তাকে ইবাদত বন্দেগীতে আকৃষ্ট করে তার ইবাদত বন্দেগীতে সময় কাটাতে ভাল লাগে।