প্রকৌশলীর ভুলে সিসিকের অর্থ অপচয়

প্রকাশিত: ৩:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২২

প্রকৌশলীর ভুলে সিসিকের অর্থ অপচয়

এমবাংলা ডেস্ক: ড্রেন সংস্কারে গিয়ে ব্যক্তিমালিকানা ভূমির সীমানা প্রচীর ভেঙে ফেলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক)নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর।

ড্রেন সংস্কারে গিয়ে সিসিকের মালিকানা দাবি করে ব্যক্তিমালিকানা ভূমিতে থাকা সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার আদেশ দেন শ্রমিকদের। কিন্তু ভাঙার পর নিশ্চিত হন এটি ব্যক্তিমালিকানা ভূমির উপর নির্মিত। ফলে খেসারতে হিসেবে নতুন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দিতে হচ্ছে তাকে। আর এ কাজ করতে গিয়ে ব্যয় করছেন সিটি করপোরেশনের টাকা।

ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর বুরহানবাগ-গোলাপবাগ সড়কের একটি বাসায়। ড্রেন সংস্কারে গিয়ে বাসার মালিকের অনুমতি না নিয়েই মালিকানা সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার আদেশ দেন প্রকৌশলী আলী আকবর।

পরে তিনি জানতে পারেন ওই সীমানা প্রাচীর সিসিকের মালিকানা ভূমিতে নয়।ফলে যা হওয়ার তাই হলো, অপরিকল্পিত উন্নয়নের খেসারত দিল সিসিক।ব্যক্তির ভুলের খেসারত দিতে গিয়ে গচ্ছা গেলো সিসিকের সরকারী অর্থ।

স্থানীয়রা বলেন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও ভাঙা গড়ার নামে সিসিকের টাকার শ্রাদ্ধ করছেন কর্মকর্তারা।না জেনে, না বুঝে অন্যের জায়গায় এসে বুলডাজার চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছেন।

এ বিষয়ে জানতে সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবরকে ৬ বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সম্প্রতি সিলেটের সৈদানীবাগ এলাকায় ব্যক্তি মালিকানা ইন্দুআলী দিঘীর দখল নিতে গিয়ে সাইনবোড উপড়ে ফেলে দেয় সিসিকের শ্রমিকরা। পরে সিসিক মেয়র বিষয়টি ভুলক্রমে হয়েছে জানিয়ে মালিকপক্ষকে শান্তনা দিয়ে সুরাহা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিত উন্নয়নের নামে সিসিকের অর্থ নষ্ট করা হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন ড্রেনেজ সংস্কারের কাজে গিয়ে ব্যক্তি মালিকানা ভূমির উপর থাকা সীমানা প্রাচীর ভেঙে সিসিকের টাকার অপচয় করা হচ্ছে।আর দীর্ঘদিন ফেলে রাখা সড়ক সংস্কারে সিসিকের ঠিকাদার প্রকৌশলীদের রশি টানাটানিতে উন্নয়ন কাজ দীর্ঘায়িত করার পাশাপাশি বড় অংকের টাকা অপচয় হচ্ছে। কিন্তু কাজের জবাবদিহীতা ও যথাযথ মনিটরিং না থাকায় অবলীলায় অর্থের অপচয় হচ্ছে সিসিকের।