সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা

প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০২২

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের (উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয়) প্রধান নদী-নদীগুলোর পানি আরও বেড়ে সেখানকার বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সোমবার (১৬ মে) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতলের স্টেশনের সংখ্যা ১০৯টি। এরমধ্যে ৭৯টি স্টেশনে পানি বাড়ছে এবং ২৬টি স্টেশনে পানি কমছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সুরমা নদীর পানি সিলেটের কানাইঘাটে, কুশিয়ারার পানি অমলশীদ ও শেওলায় এবং সারি গোয়াইন নদীর পানি সারিঘাটে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ওইসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এ পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে পারে বলে জানিয়েছে পূর্বাভাস কেন্দ্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। প্রধান নদীগুলোর (সুরমা, কুশিয়ারা, ভোগাই-কংস, ধনু-বাউলাই, মনু, খোয়াই) পানি সমতল কতিপয় পয়েন্টে সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নদ-নদীর পানি কিছু স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং সিলেট জেলার নিম্নাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, গঙ্গার পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশের উত্তরাঞ্চলের ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধির ধারা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের কতিপয় স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এমএনআই