স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে নিয়ে থানায় হাজির স্ত্রী

প্রকাশিত: ২:৪০ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০২২

স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে নিয়ে থানায় হাজির স্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: পারিবারিক কলহের কারণে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছেন তার স্ত্রী। ভুক্তভোগী যুবকের নাম মো. শরীফ। ঈদের আগের (সোমবার) রাতে এ ঘটনা ঘটে। স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে তাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে থানায় গিয়ে আত্মসর্মপন করেছেন স্ত্রী হনুফা বেগম।
গাজীপুরের শ্রীপুর থানার পৌর এলাকায় কেওয়া দক্ষিণ খণ্ড গ্রামের চেয়ারম্যানবাড়ি মোড় এলাকায় আমান উল্ল্যাহ্ আহমেদের ভাড়া বাড়িতে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত শরীফকে বর্তমানে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ মে) তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগী শরীফ দুইটি বিয়ে করেছেন। পারিবারিক কলহের জেরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী হনুফা সোমবার রাতে তাকে দুধের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। পরে শরীফ ঘুমিয়ে পড়লে ধারালো ব্লেড দিয়ে তার গোপনাঙ্গ কেটে দেয়। এরপর তাকে ঘরে তালাবদ্ধ রেখে ওই কাটা পেনিস নিয়ে থানায় এসে আমাদের কাছে ধরা দেয়। এখন ভুক্তভোগীর ভাই শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করছে। আমরা বুধবার আসামিকে আদালতে পাঠাব।
ভুক্তভোগী যুবক শরিফ গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার সোহাগপুর গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে।
অভিযুক্ত হনুফা বেগম শ্রীপুর থানার গাজিয়ারন গ্রামের আবু হানিফ বেপারীর মেয়ে। তিনি শরিফের দ্বিতীয় স্ত্রী। আট থেকে নয় মাস আগে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর হনুফাকে বিয়ে করেন শরিফ।
ভুক্তভোগী শরীফের বাবা আলাউদ্দিনের ভাষ্য, ‘প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তিন বছর সংসার করার পর তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। পরে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকে শরিফের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। তাকে বাড়িতেও ঢুকতে দিতাম না। বছরখানেক তার সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। ওরা যে বিয়ে করছে- তাও আমরা জানতাম না।’
বাড়ির মালিক আমান উল্ল্যাহ আমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, গত রবিবার স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তার বাড়িতে একটি টিনশেড ঘর ভাড়া নেন শরিফ। তখন জানানো হয়েছিল তিনি জয়দেবপুর এলাকায় চাকরি করেন। পাশাপাশি স্ত্রী ঘরে সেলাইয়ের কাজ করেন। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের কলহ ছিল কি না- তা তাদের জানা ছিল না। সোমবার রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে তাদের ঘুম থেকে ডেকে তোলে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ির মালিক আমান উল্ল্যাহ তাকে হাসপাতালে নেন।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তিনি রাতে ওই এলাকায় ডিউটিতে ছিলেন। এসময় থানার ডিউটি অফিসার তাকে ফোনে জানান, স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে নিয়ে এক নারী থানায় হাজির। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে এসেছেন।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত নারী হনুফা বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে শ্রীপুর থানা থেকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে বুকের ব্যথা না কমায় তাকেও গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তার বুকের ব্যথা ভালো হয়ে গেছে।

এমএনআই